রামপুরহাটে গণহত্যার শিকার পরিবারের ইনসাফের লড়াইয়ে পাশে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন
নিউজ ডেস্ক বঙ্গ রিপোর্ট: বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার বগটুই গ্ৰামে উপপ্রধান ভাদু সেখের খুন ও পরবর্তীতে পরিকল্পিত ভাবে বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে মহিলা শিশুসহ ৮ জনকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের সকলস্তরের মানুষ সরব হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার সকালে হাইকোর্ট ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রাজ্য সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছান এবং সাইথিয়ায় থাকা মিহিলাল সেখের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইনসাফের লড়াইয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে একই পরিবারের ৮ জনকে, ইনসাফের লড়াইয়ে মিহিলাল সেখের পরিবারের পাশে থাকতে বীরভূমে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। pic.twitter.com/8GjDFLWvFQ
— BANGA REPORT (@BangaReport) March 25, 2022
উল্লেখ্য মিহিলাল সেখের পরিবারই ৮ জন সদস্যকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। বগটুইয়ে উপস্থিত হয়ে মহঃ কামরুজ্জামান বলেন এমন নারকীয় ঘটনা ইতিপূর্বে আমরা দেখিনি, রাজ্যের মানুষ নিজের ঘরেই নিরাপদ নয় এটা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। শিশু ও মহিলাদের প্রতি এই অমানবিক হত্যালীলা পরিবার ও স্থানীয়দের কথামতো পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই এই নারকীয় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে সিটের তদন্ত হাস্যকর ছিল, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই তবে ইতিপূর্বে বিভিন্ন ঘটনার মতো যেন কেন্দ্র রাজ্য সমঝোতা হয়ে প্রকৃত দোষীরা আড়াল না হয় সেদিকেও হাইকোর্টকে নজর রাখতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মাওঃ আনোয়ার হোসেন কাসেমী বলেন এই নারকীয় ও নৃশংস ঘটনার নিন্দার কোনো ভাষা নেই। প্রাণ বাঁচাতে যখন এই অসহায় শিশু ও মহিলারা ঘরে লুকানোর চেষ্টা করছিলো ঠিক তখনই আগুন লাগিয়ে এদের নৃসংশভাবে পুড়িয়ে খুন করা হয়। তিনি আরো বলেন, পুলিশ-প্রশাসনের নির্লিপ্ত মনোভাব এই নারকীয় ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকলে এই নৃশংস ঘটনা এড়ানো যেত।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। pic.twitter.com/Q55FmQeBZ9
— Ali Akbar (@arishakbar009) March 25, 2022
এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি গোলাম রহমান, মাহমুদুল হাসান, সহ সম্পাদক হাফেজ নাজমুল আরেফিন শিক্ষক আলি আকবর, বর্ধমান জেলা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, বীরভূম জেলা দায়িত্বশীল নাজমে আলম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।